এবছরে পাঁচবার চীনের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে ভারতের প্রধানমন্ত্রী বৈঠক করেছেন এরকম বেনজির ঘটনা আগে হয়নি। ২০১৮ সালে সেটাই ঘটছে। এপ্রিল থেকে জুন। নরেন্দ্র মোদী তিনবার চীন সফরে যাচ্ছেন। আগামী ৯ জুন থেকে দুদিনের সফরে মোদী সাংহাই কোঅপারেশন অর্গানাইজেশনের সম্মেলনে যোগ দেবেন। সম্প্রতি মোদী চীনে গিয়েছিলেন প্রেসিডেন্ট জি জিনপিং এর সঙ্গে ইনফর্মাল বৈঠকের জন্য। ৯ ও ১০ জুনের বৈঠকে প্রধানত ভারত আশা করছে রাশিয়া ও চীনের নেতৃত্বে হওয়া ইউরেশিয়া সিকিউরিটি গ্রুপের পূর্ণ সদস্য হওয়ার সম্ভাবনা খুলবে। এই বৈঠক বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ হওয়ার কারণ মোদী গত একমাসের মধ্যে দুই রাষ্ট্রপ্রধানের সঙ্গে ওয়ান টু ওয়ান সম্পূর্ণ একক ইনফর্মাল বৈঠক করেছেন। চীনের প্রেসিডেন্ট জি জিনপিং এবং রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। এই সাংহাই কোঅপারেশন অর্গানাইজেশনের সম্মেলনেও এই দুই রাষ্ট্রপ্রধান থাকছেন। অর্থাৎ পৃথকভাবে মোদী, জিনপিং ও পুতিনের মধ্যে এক বৈঠকের পর আবার তিনজন মিলিত হচ্ছেন একই মঞ্চে। যা আন্তর্জাতিকভাবে অত্যন্ত তাৎপর্যবাহী। কারণ আমেরিকা হঠাৎ করেই এভাবে ভারত, চীন ও রাশিয়ার মধ্যে মিত্রতার সমীকরণ গড়ে ওঠায় পাল্টা সক্রিয় হয়েছে।
সম্প্রতি পেন্টাগন নিজেদের সমরশক্তির অন্যতম কেন্দ্র প্যাসিফিক কমান্ডোর নাম পরিবর্তন করে ইন্দো প্যাসিফিক করেছে। যা ভারতের সঙ্গে আমেরিকার সবরকম সামরিক সহযোগিতারই বার্তা। চীনের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে তিনমাসের মধ্যে তিনবারের বৈঠকের পর এই বছরেই এরপর প্রথমে দক্ষিণ আফ্রিকা এবং তারপর বুয়েনস এয়ারসে আবার দেখা হবে দুজনের। সম্প্রতি সিঙ্গাপুরের সাংগ্রিলা ডায়ালগে প্রধানমন্ত্রী মোদী বলেছেন, অন্য কোনও দেশের সঙ্গেই এতটা বৈচিত্রময় সম্পর্ক ভারতের নেই যেটা চীনের সঙ্গে আছে। আমাদের দুই দেশের সহযোগিতা বাড়ছে, বাণিজ্য বাড়ছে, পারস্পরিক উপলব্ধিও বাড়ছে। এভাবে চীন সম্পর্কে ভূয়সী প্রশংসার পরই মোদী আবার চীন যাচ্ছেন ৯ জুন।