লুটিয়েন দিল্লিতে এখন হাতে গোনা বাম। রাজ্যসভা থেকে লোকসভা দুই হাউসেই বামেদের সাংসদ কর গুনে বলে দেওয়া যায়। কেরল ছাড়া আর কোথাও সরকারেও নেই সিপিএম। সেই তুলনায় সংখ্যার নিরিখে অনেকটাই এগিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দল। সারা দেশেই ভোট ব্যাঙ্কে ধ্বস বামেদের। কিন্তু তাতে কী? ভোটে ভাঁড়ে মা ভবানী হলেও নোটে কিন্তু নয়।
সম্প্রতি জাতীয় রাজনৈতিক দলগুলি কমিশনকে ২০১৬-১৭ অর্থ বর্ষের হিসাব জমা দিয়েছে। নিয়মানুযায়ী রাজনৈতিক দলগুলি যদি কোনও ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের থেকে অনুদান নেয় তাহলে ২০ হাজার টাকার বেশি হলে তা নিতে হবে চেক অথবা ইলেক্ট্রনিক ট্রান্সফার সিস্টেমের মাধ্যমে। অ্যাসোসিয়েশন অফ ডেমোক্রেটিক রিফর্ম কমিশনের থেকে প্রাপ্ত রিপোর্ট অনুযায়ী যে রিপোর্ট প্রকাশ করেছে তাতে তৃণমূলকে হারিয়ে দিয়েছে সিপিএম। ২০১৬-১৭ অর্থবর্ষে সিপিএম ডোনেশন পেয়েছে ৫ কোটি ২৫ লক্ষ টাকা। আর তৃণমূলের পেয়েছে ২ কোটি ১৫ লক্ষ টাকা। দুই দলেরই ২০১৫-১৬ অর্থ বর্ষের থেকে ২০১৬-১৭ তে ডোনেশন পাওয়ার পরিমাণ বেড়েছে। তবে ধরা ছোঁয়ার বাইরে রয়েছে বিজেপি। এমনকি এত দিন ধরে দেশ শাসন করা দল কংগ্রেসও বিজেপির থেকে অনুদান পাওয়ায় আলোকবর্ষ দূরে। ২০১৬-১৭ অর্থবর্ষে মোদী-অমিত শাহদের দল অনুদান পেয়েছে ৫৩২ কোটি ২৭ লক্ষ টাকা। সেখানে কংগ্রেসের ভাঁড়ারে এসেছে ৪১ কোটি ৯ লক্ষ টাকা। ২০১৫-১৬ অর্থবর্ষে বিজেপির অনুদান মিলেছিল ৭৬ কোটি ৮৫ লক্ষ টাকা। সেখান থেকে এক লাফে ৫৩২ কোটি টাকা। কিন্তু এই অনুদানে বাংলার দান মাত্র ১৪ কোটি টাকা। সব রাজনৈতিক দল যা হিসেব জমা দিয়েছে তাতে বাংলা থেকে সর্বসাকুল্যে রাজনৈতিক ফান্ডে গিয়েছে ১৪ কোটি টকা।